দৃশ্যটা ভীষণ বীভৎস। শুধু বীভৎস নয়। এখন তো মনে হচ্ছে বেশ উপভোগ্যও। বাদাম, ছোলা, বুট ভাজা, চা, আর পানি বিক্রেতাদের এলোমেলো হট্টগোল থেমে গিয়ে পুরো স্টেশনে খানিক আগেও ছিল একটা থমথমে নীরবতা। আতংকগ্রস্ত মানুষ জানালা দিয়ে মাথা বের করতে সাহস পর্যন্ত পাচ্ছিল না। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে গেল। এবার শুরু হলো গুঞ্জন আর প্রশ্ন। কৌতূহলের বশে কৌতুকময় সব প্রশ্ন। ট্রেনের কামরার ভেতর-বাইরের প্রতিদিনের কোলাহল উবে গিয়ে এখন চারদিকে উত্তেজনাময় পরিবেশ। উজান যেই বগিতে বসেছে সেই বগির সবগুলো মাথা জানালার বাইরে। অন্য সব বগিরও নিশ্চয়ই একই অবস্থা। উজানের পাশে বসা মেয়েটি উসখুস করছে। উজান সিট থেকে উঠে দাঁড়ায়। ঘটনাটা দেখা দরকার। দাঁড়িয়ে থেকেই মাথা জানালার বাইরে গলিয়ে দেয়। আশেপাশের সব বগির জানালা দিয়ে অনেক কৌতূহলী মাথা বের হয়ে আছে। বাহির থেকে মাথাময় ট্রেনটিকে নিশ্চয়ই অদ্ভুত লাগছে। কিছুটা কাত হওয়া মিছিলের মত। উজানের হাসি পায়। বাঙালী পয়সা দিয়ে মজা দেখে আর এ তো বিনা পয়সার মজা! এইবার উজানও বীভৎস দৃশ্যটা দেখতে পেল। দূরের জটলা দেখে প্রথমে কিছু বোঝা যায় নি। ভিড় ভেঙ্গে একটা লোক বেরিয়ে এলে আশে-পাশের সবাই ভয়াবহ আতংকে চিৎকার করে উঠলো। চিৎকার করবার কারণ আরও ভয়াবহ। লোকটা তার ডান হাতে একটা পা ঝুলিয়ে দৌড়াচ্ছে। ছিন্ন পায়ের হাঁটুর কাছ থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। দূর থেকেও রক্তের সেই ধারা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। লোকটার জামা-লুঙ্গি, হাত-পা সব রক্তে মাখামাখি হয়ে আছে। তার পেছন পেছন আরেকটা লোক কাকে যেন কোলে করে ছুটে আসছে। রক্তের মাখামাখিতেও বোঝা যায় কাটা পায়ের মালিকের বাকি শরীরটা কোলে করে সে ছুটছে। লোকজন সরে জায়গা করে দিতে থাকে। কে একজন চিৎকার করে ওঠে, এইভাবে বডি নেওয়ার মানে কি? কাণ্ড-জ্ঞান নেই নাকি? সবাই ভয় পাচ্ছে! উজান এইবার শিউরে ওঠে। আধিজৈবিক বিষয়টি ক্রমান্বয়ে আধিভৌতিক হয়ে পড়ছে। উজান চারদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে জানালা গলে বের হওয়া অধিকাংশ মাথা ভেতরে ঢুকে গেছে। এবার ঠিক ওর সামনে দিয়েই লোক দু’জন ছুটে গেল। আশে-পাশের মানুষের ভিড়ের মধ্যেও উজান ভালভাবেই দৃশ্যটা দেখতে পেল। লাশটা রক্তে এমন ভাবে মাখামাখি হয়ে আছে যে মৃত লোকটির চেহারা বুঝবার উপায় নেই। কি টলটলে কাঁচা রক্ত! রক্ত এ্যাতো লাল! উজানের চোখ ধাঁধিয়ে যায়। এত রক্ত ও কোথাও দেখেনি। ইস্ রক্তের কি ভীষণ বর্ণময়তা! রক্তের উজ্জ্বলতায় আতংকের বদলে কেমন এক মাদকতা এসে ভর করে উজানের শরীরে। অন্যান্যদের মত হায় আল্লাহ, ইয়া মাবুদ বলে মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারে না। বরং ছিন্ন পা’টায় একটা কালো রঙের জুতা দেখে ওর একটু হাসিও পেয়ে যায়। ভাই আরেকটা পা কই? বডিটা কি একদম থেঁতলে গ্যাছে? মাথাটা আছে? না নাই? পুরো শরীরটা কাটা পড়লো? কাটা পড়ছে না সুইসাইড কেইস? একজনের বেশ সরস গলা শোনা গেল, ভাই ম্যায়া ছাওয়াল না ব্যাটা ছাওয়াল? ম্যায়া ছাওয়াল হইলে তো অবস্থা খারাপ। লোকটার বলার ভঙ্গিতে কেমন একটা যেন আহলাদিপনা ছিল। তার কথায় পুরো কামরার সবাই হেসে উঠলো। শুধু উজানের ডান পাশের মেয়েটি ধমকে উঠলো, মেয়ে থাকলে তো আপনাদের সব কিছুতেই মজা... অসভ্য মানুষজন। কে একজন বলে উঠল, এ্যা ম্যায়া সাবধানে কথা কইবা... তুমিও কিন্তু ম্যায়া ছাওয়াল। এবার হাসির শব্দ আগের তুলনায় আরও বেশি। চারপাশের এত কোলাহলেও মেয়েটি সিট থেকে সরেনি। এত বড় ঘটনাটা দেখার চেষ্টাও করেনি। বোধহয় নার্ভ খুব দুর্বল। উজান পাশ ফিরে মেয়েটির চোখে আতংক খোঁজার চেষ্টা করে। নাহ্ সেখানে কোনো বিপন্নতা নেই। ভারি সাহসী মেয়ে তো। ট্রেনে উঠার পর অবশ্য উজান ভাল করে খেয়াল করেছে মেয়েটি লুতুপুতু টাইপের না। বেশ ধারাল চেহারা। প্রসাধনহীন মুখে আধুনিকতার চেয়ে স্নিগ্ধতার ছাপ বেশি। অবশ্য চেহারার চেয়ে মেয়েটির ফিগারই বেশি ধারাল। গায়ে হালকা কমলা রঙের সালোয়ার-কামিজ। গলায় গাঢ় কমলা ওড়না ঝুলানো। জর্জেট কামিজের কারণে ধারাল ফিগার আরও নিখুঁত ভাবে চোখে পড়ছে। ট্রেনে উঠবার পর পাশের পানখাওয়া বুড়ো লোকটিকে দেখে উজানের মেজাজ যখন সপ্তমে তখনই কানের কাছে মধুর স্বরে উজান চমকে উঠেছিল। বোধ করি বুড়োটারও একই অনুভূতি হয়ে থাকবে। তা না হলে মেয়েটি যখন বলল, চাচা প্লিজ... আপনি একটু সরে বসবেন...। মা...মা... করে বুড়ো হাবড়াটা সরে গিয়ে মেয়েটিকে ওদের দু’জনের মাঝে জায়গা করে দিয়েছিল। বুড়ো নিজেই মাঝখানে বসত কিন্তু মানুষের গায়ের গরম নাকি বুড়োর সহ্য হয় না। এখন অবশ্য দিব্যি একজনের গায়ের গরম পাচ্ছে। অথচ একটু আগে এক ভদ্রলোকের সাথে তার কি ঝগড়া! টিকেট কাইট্যা উঠছি... যেহানে খুশি সেহানে বসমু... হাত-পা ছড়ায় বসমু...। অবশ্য বুড়োটা এখনো বেশ হাত-পা ছড়িয়েই বসেছে। বুড়োর দুই পায়ের ফাঁকে একটা চটের ব্যাগ। ভেতরে কি আছে কে জানে। ব্যাগটা যক্ষের ধনের মত বুকে আঁকড়ে রেখেছে। মেয়েটি ওদের দুজনের মাঝখানে বসার পর থেকে বুড়ো হাবড়াটা হাতে-পায়ে বেশ শিথিলতা এনেছে। তাতেও হচ্ছে না, ছানি পড়া ট্যারা চোখে একটু পর পর ঘাড় ঘুড়িয়ে মেয়েটিকে দেখছে। উজান দূরে বসেও বুড়োর হাব-ভাব সবই টের পাচ্ছিল। একটু পর নিশ্চয়ই মা-জননী, মা-জননী বলে গায়ে হাত দেবে। আহা বেচারা! শরীরতো দুনিয়ার মায়া ছেড়ে গেছে অনেক কাল আগেই এখন শুধু দমটুকুই বাকি। তবু জীবনকে চেখে দেখবার কি নির্লজ্জ ইচ্ছা! উজানের একটু মায়াই লাগে। কতক্ষণ আর? নারায়ণগঞ্জ থেকে কমলাপুর। এক ঘন্টা বড় জোর। সুখ পায় তো পাক। উজানের কী? অবশ্য ঘটনাটি ঘটার আগ পর্যন্ত কামরার সকলের চোখই মেয়েটির শরীরে ভ্রমণ করছিল তা মেয়েটির চেয়ে উজানই বেশি খেয়াল করছিল। ট্রেনে উঠবার পর থেকেই মেয়েটির চোখে ভীষণ তাড়া। তাই হয়তো এসব গায়ে মাখছিল না। মেয়েরা অবশ্য এই ব্যাপারে খুব তক্কে তক্কে থাকে। রাস্তাঘাটে মাঝে মাঝে এদের ঝামটা শুনে উজানের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। ইস্ ভাবটা এমন যেন সারা পৃথিবী ওদের শরীর ছোঁয়ার জন্যে মুখিয়ে আছে। উজান খেয়াল করে দেখেছে বাসে-ট্রেনে পাশে বসা মেয়েটির লক্ষ্যই থাকে পাশে বসা লোকটিকে অপদস্ত করা। একটু পর পর, এই যে সরে বসেন... কি গায়ের ওপর উঠে আসছেন কেন... অসভ্য... মেয়ে দেখলেই ধরতে ইচ্ছে করে...। এইতো সেদিন মোহাম্মদপুরের একটা লোকাল বাসে উজান একটা মেয়ের পাশে বসেছিল। না আছে চেহারা না আছে ফিগার। একটু পর পরই খরখরে গলায় বলছিল... আরে সরে বসেন না... গায়ে উঠে যাচ্ছেন কেন... সরে বসেন না। ...হারামজাদী... তুই সরে বস। উজান সরতে সরতে সিট থেকে প্রায় পড়েই যাচ্ছিল। আরেকবার গুলিস্তানের ৩ নাম্বার বাসে এক বেটি তো লোক জড়ো করে ফেলল। উজান নাকি তার কাঁধে মাথা রেখেছে! অথচ সাত সকালে ঘুম থেকে ওঠার ধকলে সে অসতর্কভাবে কয়েকবার ডান দিকে ঢলে পড়েছিল মাত্র। আর বেটি মহা বজ্জাত বাস থামিয়ে হুলস্থুল কাণ্ড বাঁধিয়ে ফেলেছে। পরে আম্মা-খালাম্মা ডেকে কোনো মতে রক্ষা। তবে উজানও যে মাঝে মাঝে একটু-আধটু সুযোগ নেয় না তা না। সহযাত্রিনী মেয়ে হলে উড়ো চুল আর পারফিউমের আবেশে একঘেঁয়ে পথটুকু ভালই কেটে যায়। অবশ্য এই মেয়েটির বসবার ভঙ্গিতে কোন জড়তা নেই। সবার চেয়ে উজানের পাওনা ছিল একটু বেশি। কারণ মেয়েটি ওর পাশ ঘেঁষেই বসেছে। এই মিনিট পনেরোর মধ্যে অন্তত দশবার সরির সাথে হালকা ছোঁয়াছুঁয়িতে উজানের সময়টা বেশ ভালই কাটছিল। মেয়েটি জেসমিন ইউজ করে। হালকা বেলি ফুলের গন্ধ। আজকালকার মেয়েরা তো খালি কড়া সব সেক্সসিম্বল পারফিউম ইউজ করে। জেসমিনের ব্যবহার বেশ কমে এসেছে। আবেশে উজানের চোখ বন্ধ হয়ে আসছিল। নাহ্ আজ জার্নি বাই ট্রেন ভালই কাটবে। ফাঁক বুঝে গল্পে গল্পে ঠিকানা নিয়ে ফেললেও মন্দ হয় না। স্টেশনের নিত্যকার কোলাহল ফিরে এসেছে। আর কামরার কোলাহল থেমে গেছে। মেয়েটি নড়েচড়ে বসল। আহা... নেমে যাবে নাকি? বুড়ো হাবড়া গুলো তো মেয়েটিকে ক্ষেপিয়ে দিল। নেমে গেলে উজান বড্ড একা হয়ে যাবে। নারায়ণগঞ্জ-ঢাকার একঘন্টার পানসে ট্রেন জার্নি আরও ম্যাদা মেরে যাবে। মেয়েটি উজান আর তার মাঝে রাখা হ্যান্ডব্যাগটি টেনে কামরা থেকে নেমে গেল। দরজার কাছে গিয়ে একবার ফিরেও তাকাল না। পাশের বগিতে উঠল বোধহয়।কামরায় আরেকবার হাসির হুল্লোড় ছুটল। ‘বাপরে বাপ তেজ কত?’ উজানের মন খারাপ হয়ে গেল। ধ্যাত পুরো পথ এই চিমসে বুড়োর সাথে যাবে? নাকি এবার সে ও নেমে পড়বে? হঠাৎ বুড়োটা কঁকিয়ে উঠে মিনমিনে গলায় বলে উঠল, কি দরকার ছিল মাইয়াটারে চেতানোর? আহারে উজানের চেয়ে দেখি এই ব্যাটার মনই বেশি খারাপ হয়েছে। উজান হাসি সামলে রাখতে পারে না। ট্রেন এখনো থেমে আছে। মানুষ কাটা পড়েছে সহজে ছাড়বে কিনা কে জানে। আর দশ মিনিট দেখবে। না ছাড়লে চাষাড়া গিয়ে বাসে উঠবে। মন্টু শালাকে তো দোকানে থাকতে বলেছে দুইটা পর্যন্ত। শালা না আবার চলে যায়। গতবার যোগাযোগ করতে একদিন দেরি হয়েছিল দেখে বদমাশটা আরেকজনের সাথে ঝুলে পড়েছিল। তাহলে এবারের মাল নিয়েও বিপদে পড়বে। উজান ঘড়ি দেখে, পোনে বারোটা। তার ঘড়ি পাঁচ মিনিট স্লো। তার মানে বারোটা বাজতে দশ মিনিট বাকি। ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল এগারটায়। ধ্যাত এতক্ষণে পৌঁছে যেত। অনেকেই নেমে পড়ছে। উজান এবার আশ্বস্ত হল। নাহ্ এবার ট্রেন ছাড়বে। অনেক গাইগুই করে যেই মুহূর্তে মানুষ একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে তার পর পরই দেখা যায় সিদ্ধান্তটা না নিলেই ভাল হত। এটা উজানের জীবনের একটা পরীক্ষিত সত্য। ট্রেন নড়তে শুরু করেছে। যাক ছাড়ল তাহলে। সিটে হেলান দিয়ে উজান নিশ্চিন্তমনে চোখ বন্ধ করে। এক ঘুমেই ঢাকা পৌঁছে যাবে। পরিশিষ্ট স্টেশনে যাত্রীরা নামতে না নামতেই হট্টগোল শুরু হয়েছে। উজান চোখ কচলে সিট থেকে উঠে দাঁড়ায়। ভালই ঘুমিয়েছে। কখন পৌঁছেছে টেরই পায়নি। পাশের বুড়োটা খোঁচা দিয়ে জাগিয়ে না দিলে খবর ছিল। আরে বাবা কমলাপুর স্টেশনেও দেখি ভিড় লেগে গেছে। এত হৈ চৈ কিসের? এখানেও আবার মানুষ কাটা পড়ল নাকি? আপনি আমার গায়ে হাত দিলেন কেন? ভিড় ফুঁড়ে একটা তীক্ষ্ম নারীকন্ঠ শোনা যায়। আরে এটা সেই মেয়ে না? ট্রেনে উজানের পাশে বসেছিল? উজান জটলার ভেতর ঢুকে গিয়ে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করে। রাগে মেয়েটির ফর্সা মুখ ওর কামিজের মতই কমলা হয়ে গেছে। ভিড়ের সামনে দাঁড়ান একটা মস্তান টাইপের ছেলে মেয়েটির দিকে প্রায় তেড়ে আসে, গায়ে হাত দিলাম মানে? কখন দিছি? কে দেখছে? দেননি? আপনি ভিড়ের মাঝে আমার গায়ে হাত দেননি? এবার মেয়েটি সর্মথনের আশায় কাতর চোখে আশেপাশে তাকায়। জটলা করা মাথাগুলোর অনেকেই এরমধ্যে ফিকফিক করে হাসা শুরু করেছে। লম্বামত একটা লোক বিশ্রি ভঙ্গিতে ভ্রু নাচায়, কোথায় হাত দিয়েছে ম্যাডাম? এবার একসাথে অনেকের হাসির শব্দ শোনা যায়। ভালই মজা হচ্ছে। মেয়েটি আর কথা বলে না। উজান খুব আগ্রহ নিয়ে ওর মুখের দিকে তাকায়। কাঁদবে নাকি? নাহ্ দু’চোখে আর্দ্রতা নেই, বিস্ফোরণও নেই। শূণ্য চোখ। মেয়েটি ধীর পায়ে হাঁটা শুরু করেছে। কয়েক পা এগিয়েই মেয়েটি কি এক অদ্ভুত অবিশ্বাসের চোখে প্রথমে চারপাশের হাস্যরত মানুষগুলোর দিকে তারপর উজানের দিকে ফিরে তাকাল। সে চোখে কি এক আকুতি ছিল যে উজান চমকে উঠলো। মেয়েটি কি তার কাছে কিছু আশা করেছিল? কি জানি। হয়তো বা। উজান ঘড়ির দিকে চোখ ফেরায়। সোয়া দুইটা বাজে। তাড়াতাড়ি পা চালাতে হবে। মন্টু শালা এতক্ষণ দোকানে আছে কিনা কে জানে। না থাকলে তো ব্যবসায় বিরাট লস!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আশা
ঝরঝরে সুন্দর লেখা। আজকাল প্রতিবাদী মানুষের অভাব নেই, কিন্তু প্রতিবাদী মানুষকে জাগ্রত করার মতো মানুষের বড়ই অভাব। গল্পে ফুটিয়ে তোলা মুহুর্তে উজান কিছু বলতে গেলেও বিপদ আবার না বলেও বিবেকের কাছে মার খেয়েছে সে। বাস্তবতা খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলে হাজারো অবিবেচককে সচেতন করার জন্য লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মোঃ মহিউদ্দীন সান্তু
ক্ষোভ, রস আর দুঃখের সংমিশ্রনে বাস্তবতার উপস্থিতিতে চমৎকার একটি গল্প। আমি নিজেও একবার কমলাপুর থেকে জয়দেবপুরের একটি ট্রেনে একটি মেয়েকে এরকম পরিস্থিতিতে পরতে দেখেছিলাম। সমাজে তাদেরকে আমি পুরুষ বলতে চাইনা, যারা সামান্য কামনার লোভটুকু রাস্তাঘাটে সামলে চলতে পারেনা। ধিক্কার জানাই তাদের। চমৎকার শিক্ষনীয় পল্পটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
মোঃ আক্তারুজ্জামান
সে চোখে কি এক আকুতি ছিল যে উজান চমকে উঠলো।- অনেক কিছুই আমাদেরকে চমকে দেয় শেষ অবধি শুধু নিজের লাভ লোকসানের হিসেব করেই মিইয়ে যাই। খুব সুন্দর লিখেছেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।